করতে পছন্দ করতেন। আমরা ভাই বোনেরাও শীতের দিনের চুলোয়ে ঘিরে বসতাম,পাশে লেজ গুটিয়ে বসতো দিদির প্রিয় বিড়াল ''গহন''। মা'র খুব অতিথি পরায়ণতার কারণেই বোধহয় আশেপাশের বৌ ঝি রাও খুব আমোদ করে আমাদের সাথে পিঠে খেতে হাজির হতেন। , , , পরের দিন চলে যাব এই ভেবে মা আমার ভোর বেলা উঠে পূজো দিতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠতেন । বড্ড অবুজ আমার মা। অতঃপর বিছানায় গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিতে থাকতেন অনরগল । বাড়ি থেকে যাবার বেলায় মায়ের হাতের পরম মমতায় বানানো শীতের ভোরের খেজুরের রসের তৈরি পায়েস ,জলপাই,কিংবা আমের আচারের বয়াম প্যাকেট করে ব্যাগ এ দিয়ে দিতেন।আমাকে রিকশায় তুলে দিয়ে বারান্ধাএ দাঁড়িয়ে থাকতেন নিস্পলক। হয়েতো এমন সুযোগ জীবনে আর কখনও আসবে না। কারণ রক্তের বন্ধনের,মানবিকতার বন্ধনের চেয়েও, ধর্মীও বন্ধন তাদের কাছে বড় মুখ্য । মা তুই যে খানেই থাকিস অনেক ভাল থাকিস,তোকে খুব বেশি ভালোবাসি।
লেখাঃ নুসরাত এশা
0 Comments