পাঁচফোড়ন শেষ।
তেল, পেয়াজ, আলু,
ঘরে নাই ক্যাশ।
সে খেয়াল আছে?
দিয়াশলাই বাক্স সবটাই বাজে।
বলি আনতে দু'টাকার,
আনে বাক্স এক টাকার।
কিপটে জামাই! আমার পোড়া কপালে ছাই।
কাঠিগুলো আমার জামাইয়ের মতো কষা,
জ্বলবে না সহজে,
যতই দেই না ঘষা!
কই গো বাজারে কিছু পেলে?
সময় হয়নি বেশি,
একটু আগে না গেলে।
মাছ পাইছি গো মাছ!
ছোডো ছোডো মাছ,
মলা ঢেলা আর বেলে।
ও-ও-মা! ও কী! কাঁন্দো ক্যান?
মাছ দেইখা কাঁন্দে- এ এবার কেমন,
কষ্ট হয় আমার,
জানো না যেমন!
আহ! দ-র-দ! মোর জালা।
তোমার মাথা, সব আমি বুঝি-
আটা ময়দা সুজি।
ওরে পেয়াজ, পেয়াজ কাটতাছি,
চোখে জল আসে তাই কাঁদতাছি।
ও তাই কও! আগে কইবা না!
বুকে ব্যাথা করে,
বুইঝাও বুঝোনা।
ঠং দেইখা বাঁচি না
সত্যই যদি বুঝতা,
কষ্ট আমার কত্তো
একটু হইলেও খুঁজতা!
বুঝি গো গিন্নি বুঝি
তার লেইগাই হইছো রাজি
নাইলে কী আর ডাকতাম
দাঁড়িওয়ালা কাজী।
বিবাহতে রাজি হইছি
ভাগ্য তোমার সাত কপাল।
আমি না জুটলে,
জুটতো শুধু হাতুড়ি আর বাটাল!
তুমি না বুঝলে
কও বুঝবো কেডা?
মনডা যে তোমার,
সহজ সরল সাদা।
হইছে এহন যাও দেহি দোকানে,
এক পাতা শ্যাম্পু আনবে।
চুলে যে জট বাঁধছে,
রান্নার ধোঁয়া, মাথায় বসছে।
যা তেজ, হইবো না আবার!
বেল গাছে কাঁঠাল ধরে-
শুনছি কহনো!
মস্ত বড় সাপ, খাইয়া সাবার।
আমাজন বন তো আমার ঘরে,
খালি খ্যাছ খ্যাছ করে।
কী!
বললা কিছু আমারে?
কান আমারও আছে,
জেনে রাখোরে।
না গো না, দেহি তোমারে-
এত্তো সুন্দর, দেহি নাই জীবনে।
চান্দের গায়ে নজর যেন না পড়ে,
ঠোঁট টা দেহো চাইয়া,
এ-ক-কে-রে টুনটুনি পাখিরে!
কী যে বলো না, এতো লজ্জা সয় না।
রান্না বসাইছি সবে,
তোমার পছন্দের রান্না-
এতো প্রশংসা পরে হবে।
লাগাইছি গিট্টু
এইবার ছুডাইবো,
কোন বিচ্ছু।


লেখাঃ উজ্জ্বল ইসলাম
সাহিত্য সম্পাদক (৪র্থ কমিটি), মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা, সিলেট।