একটা বাচ্চা পৃথিবীর আলো দেখার সাথে সাথে তার মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় শুধু এই সূর্যের আলো দিয়ে জীবন আলোকিত করা সম্ভব নয়।জীবন আলোকিত করার জন্য চাই বাড়ি,গাড়ি,অর্থ।এসব পেলে তবেই জীবন আলোকিত।অনেক সময় এটাও শিক্ষা দেয়া হয় তুমি যা পড়ছো,তা বুঝেছো কি না তা জরুরি নয়।জরুরি হলো তা তুমি পরীক্ষার কতটা উগরে দিতে পারবা।
আজকাল বাচ্চারা খেলার সময় পায় না।সকাল থেকে রাত অব্দি স্কুল প্রাইভেট এসব চলে।যেটুকু সময় তাদের দেয়া হয় তা তারা ঘরে বসেই ভিডিও গেমস বা কার্টুনে ব্যয় করে।এতে কি হয়?
বাচ্চাটা বড় হলে কারো সাথে মিশতে পারে না।সমাজটা উপলব্ধি করতে পারে না।বাচ্চাটা ঘরের নরম বিছানায় শুয়ে থেকে চকলেট খেতে খেতে বুঝতেই পারে না, রাস্তায় পথশিশুরা কঠিন শানে শুয়ে থাকে।কত বেলা তাদের না খেয়ে কাটে।বাচ্চাটাকে এটাও বলা হয় না যে সমাজের প্রতি তোমার একটা দায়িত্ব আছে।
কিছু করারও আছে দেশের জন্য।সব শিশুরাই যে এরকম তা না।হাতে গোণা কয়েকজন শিশুকে সমাজটা শেখানো হয়।
বর্তমানে বাবা-মা রা চায় না তাদের সন্তান অন্ধকারে থাকুক।তারা চায় তাদের বাচ্চাদের জীবন আলোয় ভরপুর হোক।অথচ তারা ভুলে যায় অন্ধকারে কিছু না দেখতে পারলেও চোখ মেলা যায়।কিন্তু অতিরিক্ত আলোর চোখটাও খোলা যায় না।মাঝে মাঝে অতিরিক্ত আলো চোখকে নষ্ট করে দেয়।এই অতিরিক্ত আলোর ফল হচ্ছে আমাদের বৃদ্ধাশ্রম গুলো।


লেখা:ইসরাত এনাম কেমি